ছবিতে যাদের দেখছেন Surveyor Rakibul Hasan এবং তার পিতা মোস্তাফিজুর রহমান।
পিতা মোস্তাফিজুর সাহেব রংপুরের পীরগঞ্জে জমি মাপার কাজ করেন। উনি উনার এরিয়ার দক্ষ সার্ভেয়ার দের মধ্যে একজন, উনার ছেলে রাকিবুল কে আমার কাছে পাঠান মাপের বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য, সেই সূদুর রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে ছেলেটা হেমায়েতপুর পাড়ি দেয় অজানা গন্ত্যব্যে, অজানা একটা অধ্যায় শিখতে, এখানে একটা মেসে উঠে আমার এইখানে নিয়মিত ক্লাস করতে থাকে, এনালগ শেষ করে ডিজিটাল ও শুরু করে অটোক্যাড, বিডিক্যাড, টোটাল স্টেশন, এক পর্যায়ে এটাও শেষ।
মোস্তাফিজ সাহেবের ইচ্ছা ছেলেকে আরও দক্ষ করতে যদি আমার মাপে সহকারী হিসেবে ব্যাবহার ও করতে হয় সমস্যা নেই। ছেলে সবে মাত্র স্নাতক সম্মানে পড়াশোনা করছে, ভালো ভাবে শিখলে ভালো কিছু করবে।
আমিও রাকিবুল কে যত্ন করে শিখানো শুরু করলাম, বিভিন্ন মাঠের কাজে শালিশ বিচারে নিয়ে গেলাম নিয়মিত, এখন এই পরিবেশ টা অনেকটাই রাকিবুল আয়ত্ব করেছে,
মনে রাখবেন সাফল্য ও দক্ষতা কোনো এক্সিডেন বা দূর্ঘটনা না৷ এটা কঠোর পরিশ্রম ও সততা ও মেধার দীর্ঘ মেয়াদি চর্চা,
তার বাবা যদি মনে করতো আমিই তো এতো নামকরা আমিন আমার ছেলেকে কেনো ঢাকা রেখে শিখাতে হবে?
সবচেয়ে বড় কথা শিখা ও দক্ষতার কোনো বয়স নাই, এইবারের কারিগরি আমিনশীপ পরিক্ষায় বাবা ও ছেলে এক সাথে পরিক্ষা দিছে,
হবিগঞ্জের মাধবপুরের আহমেদ সাহেব তার দশম শ্রেণির ছেলে শাহরিয়ার এক সাথে পরিক্ষা দিছে, আহমেদ সাহেবের কথা স্যার পুলা এইডা আপনারে দিয়া দিমু, আপনি যেটা ভালো মনে হয় করবেন। শাহরিয়ার ছাত্র হিসেবে ও ভালো মেধাবী, বাপ ছেলে একসাথে ট্রেনিং করেছে, কিছু কিছু যায়গায় তার বাবার থেকে ও ভালো ভাবে আয়ত্ব করেছে।
জয়পুরহাট এর প্রফেসর নজরুল সাহেব ও তার ২ ছেলে একত্রে ৩ বাপ বেটা পরিক্ষা দিছে, এই একটা বয়সে এসে প্রফেশনাল একটা বিষয়ে বাপ ছেলেকে পরিক্ষায় বসানোটা যে কতো আনন্দের,
এই নিয়ে ১০ জোড়ার বেশি বাপ ছেলে একসাথে পরিক্ষায় বসেছে।
মানুষ কতটা বিশ্বাস করলে তার সবচেয়ে বড় ধন আদরের একমাত্র সন্তান দের আমার কাছে পাঠান, এই বিশ্বাস আমি ভাংতে পারবো?
এতো বড় দুঃসাহস যেনো মহান আল্লাহ সোবহানা তা আলা কখনোই না করেন।
দোয়া করবেন এই সকল পিতার ভরসার যায়গাটা যেনো রাখতে পারি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন